ছন্দক্ষ্যাপা

আয়রে আমার ছন্দমুখর
অন্ধ পাঁঠা, গন্ধ শূকর   
রাতবিরেতের পাগলা হাওয়া  
পাগলা মদন ভুতে পাওয়া
আঁড়ি পাতা চাকর বাকর 
খাতা জুড়ে পোকামাকড়  
মজুর মুটে আয়না ছুটে    
মাথায় মুড়ি, খা না খুঁটে   
দেখলে আছে সবার ভাগে
দেখতে গেলে চক্ষু লাগে   
নাই যদি তোর দেহজোড়া
বাঘের মত ডোরা ডোরা   
তাই বলে ‘তুই মানুষ’ ভাবিস ?
হুতোম প্যাঁচাও হোতে পারিস   
হোতে পারিস ছুঁচো বেবুন
আলু পটল কুমড়ো বেগুন 
সূয্যি লুকায় মেঘের পাড়ে
তুই-ও পালা বাঁচবি নারে 
ছুটছে ছন্দ ছন্নছাড়া
পাচ্ছে যাকে করছে তাড়া
হায় হারালো নিয়ন্ত্রণ
হোচ্ছে মজা বিচক্ষণ
কাব্যরথে ছন্দ ঘোড়া
পাখির পেটে পালক পোড়া
‘হ’-এ হাঁপানি হাঁপালো
 বেঞ্চি হোতে ঝাঁপালো
 হাঁপানি-টা বে-আক্কেল
 বাঁধিয়ে দিলো সে এক খেল
 বেঞ্চি ছিলো ছাদের ধারে
 হাঁপানি গ্যালো ‘স্বর্গ’ পাড়ে
‘স্বর্গ’ – হাস্পাতালের নাম
“হয়েছে, হয়েছে, এবার থাম”
দ্যাখো গণ্ডার যাচ্ছে উড়ে
চাঁদ এনে দাও খামে মুড়ে
নামছে ‘তারা’ সুরে সুরে
ঘুম এলো ভাই দুচোখ জুড়ে।।

                         - সুমন বারিক


-------- x --------

No comments:

Post a Comment