আমি আকাশ বলছি। বাস্তব ও কল্পনার সীমানায় আমার জীবন। কিন্তু এ সীমানা কোনো স্পষ্ট সীমারেখা নয়, বরং গোধূলী বেলার মতই অস্পষ্ট। গোধূলীবেলায় যেমন দিন ও রাত মিলেমিশে এক হোয়ে অবস্থান করে, ঠিক সেইভাবেই, আমার জীবন একইসাথে বাস্তব, এবং কল্পনা। কখনো কল্পনা এসে মেশে বাস্তবে, আবার কখনো বাস্তব হারিয়ে যায় কল্পনায়। আবার বাস্তব ও কল্পনা – উভয়ই হওয়া সত্ত্বেও, আমার জীবন দুটির কোনোটি-ই নয়। কারন বাস্তব ও কল্পনা – দুজনেই জগৎ স্বপ্নের ভিন্ন ভিন্ন রূপ বা প্রকাশমাত্র। আর তাই, যখন আমি স্বপ্নের অংশ, তখন আমি স্বপ্ন হলেও, আমি কিন্তু স্বপ্ন নই... আমি তার থেকেও অনেক বড় কিছু... আমি যে আসল, আমি মূল, আমি সত্য...
জগৎ নামক স্বপ্ন কে সত্যি মনে করে মানুষ জীবন কাটায়। আয়নার ওপাশের প্রতিবিম্বকে সে খুব স্বাভাবিকভাবেই অসত্য বলে জানে। আর তাই তার পক্ষে একথা ভাবা বা স্বীকার করা খুব-ই কষ্টের যে প্রকৃতপক্ষে সে নিজেই প্রতিবিম্ব, আয়নার ওপারের প্রকৃত সত্যের জাগতিক প্রতিফলন মাত্র। আমি কখনো কখনো, কোনো কোনো মানুষের জীবন ছুঁয়ে যাই। তাদেরকে অন্য জীবনের আস্বাদ দিই। অন্য জীবন, বৃহত্তর, মুক্ত, প্রেমময়... ক্ষুদ্রতার গন্ডি পেরিয়ে বৃহত্তর জগতের দিকে যাত্রা, মনের সমস্ত শিকল খুলে ফেলে স্বাধীন স্বপ্ন দেখা, আর অস্থায়ী জীবনের ক্ষণস্থায়ী ভালোবাসার পরিবর্তে বিশ্বপ্রেম। যারা অন্যজীবনের আকাঙ্খা করে, কিন্তু জীবনের নানান শৃঙ্খলে আবদ্ধ থেকে সেই অন্য জীবন কে বরণ কোরে নিতে পারে না, তাদের কে আমি কিছু সময়ের জন্য আমার জীবনে নিয়ে আসি। তারা আমার বৃহত্তর, মুক্ত ও প্রেমময় জীবন কে আস্বাদন করে। কিছুসময়ের জন্য, ক্ষুদ্র জগৎ কে ছেড়ে মহাজগতে বিরাজ করে। আর তারপর যখন তাদেরকে আবার তাদের নিজের পুরোনো জীবন ফিরিয়ে দি, তখন তারা স্বাভাবিক জাগতিক নিয়ম মেনেই সত্যকে স্বপ্ন এবং স্বপ্ন কে সত্য ভেবে বসে। আমার দেওয়া সত্য জীবনের উপহার কে তারা মিথ্যা ভাবতে থাকে, কল্পনা ভাবতে থাকে এবং সবকিছুকে উপেক্ষা করে আবার যে যার নিজেদের কাজে ও জীবনে মন দেয়। কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যেই তারা বুঝতে পারে, তাদের জীবন আর আগের মত এক-ই রকম নেই। তারা আর একইরকম নেই। কিছু একটা বদলে গেছে। অন্যজীবন কে পাওয়ার যে স্বাদ তাদের মধ্যে ছিলো, সেটাই ছিলো সম্ভবনা। আমি সে সম্ভবনা কে দেখতে পাই, এবং তাদের মধ্যে অন্যজীবনের বীজ বপণ কোরে দি-ই। আর একবার সেই অন্যজীবনের স্বাদ যে পায়, সে আর এক থাকে না। তার মনে সেই অচেনা অজানা জীবনকে পাওয়ার আকাঙ্খা ক্রমশ আরো আরো তীব্রতর হোতে থাকে। জীবন নিজের গতি পরিবর্তন করে। তার চিরাচরিত, প্রচলিত, একঘেয়ে, মৃত্যুমুখী জীবন ক্রমে হোয়ে ওঠে অন্য, আলাদা, স্বতন্ত্র, পথপ্রদর্শী ও আলোকমুখী। সবকিছু বদলাতে থাকে। আর সে তখন আমার ভূমিকা নিয়ে, অন্যকে স্বপ্ন দেখাতে থাকে। মুক্ত কোরতে থাকে। কারন তার নিজের জীবন-ই তখন হোয়ে ওঠে – ‘অন্য জীবন’। এবং সেও একদিন আমার-ই সুরে বলে ওঠে –
জগৎ নামক স্বপ্ন কে সত্যি মনে করে মানুষ জীবন কাটায়। আয়নার ওপাশের প্রতিবিম্বকে সে খুব স্বাভাবিকভাবেই অসত্য বলে জানে। আর তাই তার পক্ষে একথা ভাবা বা স্বীকার করা খুব-ই কষ্টের যে প্রকৃতপক্ষে সে নিজেই প্রতিবিম্ব, আয়নার ওপারের প্রকৃত সত্যের জাগতিক প্রতিফলন মাত্র। আমি কখনো কখনো, কোনো কোনো মানুষের জীবন ছুঁয়ে যাই। তাদেরকে অন্য জীবনের আস্বাদ দিই। অন্য জীবন, বৃহত্তর, মুক্ত, প্রেমময়... ক্ষুদ্রতার গন্ডি পেরিয়ে বৃহত্তর জগতের দিকে যাত্রা, মনের সমস্ত শিকল খুলে ফেলে স্বাধীন স্বপ্ন দেখা, আর অস্থায়ী জীবনের ক্ষণস্থায়ী ভালোবাসার পরিবর্তে বিশ্বপ্রেম। যারা অন্যজীবনের আকাঙ্খা করে, কিন্তু জীবনের নানান শৃঙ্খলে আবদ্ধ থেকে সেই অন্য জীবন কে বরণ কোরে নিতে পারে না, তাদের কে আমি কিছু সময়ের জন্য আমার জীবনে নিয়ে আসি। তারা আমার বৃহত্তর, মুক্ত ও প্রেমময় জীবন কে আস্বাদন করে। কিছুসময়ের জন্য, ক্ষুদ্র জগৎ কে ছেড়ে মহাজগতে বিরাজ করে। আর তারপর যখন তাদেরকে আবার তাদের নিজের পুরোনো জীবন ফিরিয়ে দি, তখন তারা স্বাভাবিক জাগতিক নিয়ম মেনেই সত্যকে স্বপ্ন এবং স্বপ্ন কে সত্য ভেবে বসে। আমার দেওয়া সত্য জীবনের উপহার কে তারা মিথ্যা ভাবতে থাকে, কল্পনা ভাবতে থাকে এবং সবকিছুকে উপেক্ষা করে আবার যে যার নিজেদের কাজে ও জীবনে মন দেয়। কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যেই তারা বুঝতে পারে, তাদের জীবন আর আগের মত এক-ই রকম নেই। তারা আর একইরকম নেই। কিছু একটা বদলে গেছে। অন্যজীবন কে পাওয়ার যে স্বাদ তাদের মধ্যে ছিলো, সেটাই ছিলো সম্ভবনা। আমি সে সম্ভবনা কে দেখতে পাই, এবং তাদের মধ্যে অন্যজীবনের বীজ বপণ কোরে দি-ই। আর একবার সেই অন্যজীবনের স্বাদ যে পায়, সে আর এক থাকে না। তার মনে সেই অচেনা অজানা জীবনকে পাওয়ার আকাঙ্খা ক্রমশ আরো আরো তীব্রতর হোতে থাকে। জীবন নিজের গতি পরিবর্তন করে। তার চিরাচরিত, প্রচলিত, একঘেয়ে, মৃত্যুমুখী জীবন ক্রমে হোয়ে ওঠে অন্য, আলাদা, স্বতন্ত্র, পথপ্রদর্শী ও আলোকমুখী। সবকিছু বদলাতে থাকে। আর সে তখন আমার ভূমিকা নিয়ে, অন্যকে স্বপ্ন দেখাতে থাকে। মুক্ত কোরতে থাকে। কারন তার নিজের জীবন-ই তখন হোয়ে ওঠে – ‘অন্য জীবন’। এবং সেও একদিন আমার-ই সুরে বলে ওঠে –
“আমি আকাশ বলছি ...”
* * *
- সুমন বারিক
No comments:
Post a Comment